ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয়তাবাদী যুবদলের গৃহদাহ চিত্রনায়িকা পলির বিরুদ্ধে জিডি করলেন প্রযোজক জেনিফার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপিপন্থী নেতারা পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিলেও ভারতীয় কূটনৈতিকদের সাথে ইফতার বিএনপি’র আইএসআইকে সন্তুষ্ট করতে ভারতবিরোধিতা করছে বিএনপি : নানক মহাসচিব পদ থেকে মির্জা ফখরুলের বিদায়ের সুর বিএনপির ভারত বিরোধিতা সস্তা ইস্যু: নানক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ধর্মঘট, ভোগান্তিতে রোগীরা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনঃ সভাপতি রাফি, সম্পাদক পিয়াস বিএনপি নির্বাচন বানচালে সফল হলে দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতোঃ তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান’র ইন্তেকাল

নববার্তা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩ ১৮ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের কিংবদন্তি রাজনীতিক, সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (৮১) মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। রোববার (২৭ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নগরীর ধোপাখোলা নেক্সাস কার্ডিয়াক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘ সময় একসাথে পথ পাড়ি দেয়া রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ হাসপাতালে ভীড় জমিয়েছেন। পুরো শহর জুড়েই শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

বর্ষীয়ান এ নেতার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

প্রবীণ সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদরের আকুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঢালু যুব শিবিরের ইনচার্জ ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ পাক-হানাদার মুক্ত হওয়ার দিনে শহরের সার্কিট হাউজ মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালে একুশে পদক পান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এ নেতা।

ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোটের কাছে আসন ছাড়ার উপহার হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের সে মেয়াদে ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ সদর আসন থেকে ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের সংসদ সদস্য হন।

১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে দীর্ঘ ২৩ মাস কারাবরণ করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি ২০০২ সালে ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলার মামলায় কারাবরণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অকৃত্রিম অবদানের জন্য ‘মুজিব দর্শন বাস্তবায়ন পরিষদ’ কর্তৃক ২০০০ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পদক’ লাভ করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান’র ইন্তেকাল

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

ময়মনসিংহের কিংবদন্তি রাজনীতিক, সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (৮১) মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। রোববার (২৭ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নগরীর ধোপাখোলা নেক্সাস কার্ডিয়াক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘ সময় একসাথে পথ পাড়ি দেয়া রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ হাসপাতালে ভীড় জমিয়েছেন। পুরো শহর জুড়েই শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

বর্ষীয়ান এ নেতার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

প্রবীণ সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদরের আকুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঢালু যুব শিবিরের ইনচার্জ ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ পাক-হানাদার মুক্ত হওয়ার দিনে শহরের সার্কিট হাউজ মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালে একুশে পদক পান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এ নেতা।

ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোটের কাছে আসন ছাড়ার উপহার হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের সে মেয়াদে ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ সদর আসন থেকে ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের সংসদ সদস্য হন।

১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে দীর্ঘ ২৩ মাস কারাবরণ করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি ২০০২ সালে ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলার মামলায় কারাবরণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অকৃত্রিম অবদানের জন্য ‘মুজিব দর্শন বাস্তবায়ন পরিষদ’ কর্তৃক ২০০০ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পদক’ লাভ করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ।